শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয় রেজিস্ট্রার দফতরে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য দফতর থেকে আমাকে চিঠি দিয়ে দুটি পৃথক ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবার জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এদিকে প্রক্টর ও রেজিস্টার দফতর সূত্রে জানায়, গত ২৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সভায় হামলা এবং ১ আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেবার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বর্তমান ও সাবেক ২১ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে আন্দোলনকারীরা। রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা গেছে, স্ব স্ব বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ শেষে আগামী জানুয়ারিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বরিশালের মানচিত্র থেকে কমছে জলাশয়, পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ
এছাড়া এসব ঘটনার হুকুমদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে পৃথক অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাড়ির প্ল্যান পেতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির ২ জন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, ছাত্রদের ৩টি পক্ষ অভিযুক্তদের তালিকা জমা দিয়েছে। এগুলো বিচার বিশ্লেষণ চলমান রয়েছে।
প্রক্টর এটি এম রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমরা চাইলেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি না। বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা যাচাই বাছাই করছি। এখনও মামলার সিদ্ধান্ত হয়নি।’
]]>