নিহত রিয়াদ মিয়া উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের গারুয়া গ্রামে বন্ধু নাদিমের বসত ঘর থেকে রিয়াদের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আচারগাঁও ইউনিয়নের গারুয়া পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হানিফ মিয়ার একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিজ বাড়ি থেকে চুরি হয়। অটোরিকশা চুরির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার দুপুরে হানিফের লোকজন রিয়াদকে আটক করে। তারপর আচারগাঁও বিলপাড়ার সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে একটি সালিশ হয়। সালিশে রিয়াদ অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করে এবং এই চুরির সাথে গারুয়া ভাটুয়াপাড়া গ্রামের নাদিম মিয়াও জড়িত ছিল বলে জানায়।
পরে নাদিম কেউ সালিশে উপস্থিত করা হলে তিনিও অটোরিকশা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। ওই অবস্থায় নাদিমের মা ময়না বেগম সালিশ স্থলে গিয়ে অটোরিকশার টাকা ফেরতে দেয়ার মুচলেখা দিয়ে রিয়াদ ও নাদিমকে মুক্ত করে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে রিয়াদ বন্ধু নাদিমের সাথে বাড়িতে থেকে যায়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেটে মিলল শিশুর মরদেহ
বুধবার সকালে প্রতিবেশী লোকজন বাড়িতে মানুষের সাড়া না পেয়ে ঘরে গিয়ে ওই রিয়াদ মিয়ার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পর থেকে নাদিম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
নিহত রিয়াদের বাবা আব্দুল লতিফ জানান, তার ছেলে ও নাদিম বন্ধু ছিল। দুজনে এক সাথেই চলাফেরা করে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ছেলের অটোরিকশা চুরির বিষয় তিনি জানতেন না। ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন, ডিএনএ সংগ্রহ
নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে ৫-৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ ঘটনার পর বন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
]]>