শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তারাকান্দা থানা পুলিশ রতনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার রতন উপজেলার গালাগাঁও ইউনিয়নের বাট্রা উত্তরপাড়া গ্রামের বিষু চন্দ্রের ছেলে। আর ঋণ গ্রহীতা পরিতোষ চন্দ্র সরকার একই উপজেলা ও ইউনিয়নের বাটিয়া গ্রামের স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র সরকারে ছেলে।
তারাকান্দা ব্র্যাক ব্যাংক (এসএমই) শাখার রিকভারি অফিসার সুমন জানান, ২০১৫ সালের অক্টোবরে ব্র্যাক ব্যাংক ময়মননসিংহ নতুন বাজার শাখা থেকে পরিতোষ চন্দ্র সরকার ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণ পরিশোধ না করে তিনি পলাতক হন। পরে জামিনদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি। পরিতোষ চন্দ্র সরকার ময়মনসিংহ শহরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। তিনি ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন। পরে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে ঋণ গ্রহীতা ও জামিনদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: বেসিক ব্যাংকের ৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতে চার্জশিট
রতনের বাবা বিষু চন্দ্র দে বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ছেলেটা ময়মনসিংহে সোনা-রোপার অলংকার তৈরির একটা কারখানায় কাজ করে। স্বল্প আয়ে কোনো রকমে তার সংসার চলে। কয় টাকা ঋণ নিয়েছে তাও জানে না আমার ছেলে।’
রতনের মা সরস্বতী রাণী দে বলেন, ‘আমার ছেলের বন্ধু পরিতোষ ব্যাংক থ্যাইকা ঋণ নিছে। ঋণ নেয়ার সময় আমার ছেলে রতনরে বলে তোমার একটা স্বাক্ষর লাগবো। পরে সে না বুইঝা স্বাক্ষর দিছে। আমার ছেলেডা টেহা দেহেও নাই, ছুঁইও নাই। বুঝের অভাবে ছেলেডা জেলে গেল।’
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন চন্দ্র পাল বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ঋণের জামিনদার ছিল রতন। ওই ঋণের খেলাপি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’