বন্ধুত্ব থেকে কি শত্রুতার পথে ট্রাম্প ও পুতিন?

৪ সপ্তাহ আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই ছিল নানা সমীকরণ। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে সাম্প্রতিক টানাপোড়েন এবং পুতিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমালোচনায় সেই সম্পর্কের ভিত কিছুটা নড়ে গেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

ট্রাম্প-পুতিনের বন্ধুত্বের কথা কম বেশি সবারই জানা। প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা থেকেই পুতিনকে ঘিরে ট্রাম্পের ছিল বিশেষ অবস্থান। কখনো প্রশংসা, কখনো ব্যক্তিগত সৌজন্য। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউক্রেন সংকট নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতায় অনেকটা ব্যর্থ ট্রাম্প— এমনটাই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। 

 

আবার সম্প্রতি প্রকাশ্যেই পুতিনের সমালোচনা করতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এক সময়ের বন্ধু কি তাহলে শত্রু হতে চলেছে?

 

সম্প্রতি পুতিনকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। কিয়েভ সম্মতি দিলেও পাল্টা শর্ত চাপান পুতিন। ইউক্রেনে ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। পুতিনের কর্মকাণ্ডে ‘হতাশ’ হয়ে একপর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিনকে থামতে বলেন ট্রাম্প। এখন প্রকাশ্যেই রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, পুতিন সবসময় ভদ্র হলেও ‘অর্থহীন নেতা’। 

 

আরও পড়ুন: পুতিনের ওপর ‘হতাশ’, তবে সম্পর্ক শেষ করিনি: ট্রাম্প

 

মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের এই অবস্থান মূলত রাজনৈতিক কৌশল। চলতি বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কিকে একপ্রকার অপমান করেন ট্রাম্প। সেসময় ইউক্রেনের প্রতি ভিন্ন সুর ছিল ট্রাম্পের। আর এখন সেই সুর দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার প্রতি।

 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কখনোই শুধু ব্যক্তিগত সৌজন্যের ছিল না— বরং রাজনৈতিক লেনদেনের জায়গা ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ সেই সম্পর্কের মৌলিক কাঠামোকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে অস্ত্র ব্যবসার বিষয়ও। সম্প্রতি কিয়েভে সর্বাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

এক মার্কিন কর্মকর্তা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টার বরাতে দ্য আটলান্টিক বলছে, পুতিন বারবার তার আহ্বান উপেক্ষা করায় ট্রাম্প অপমানবোধ করছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে দুর্বল নেতা হিসেবে প্রতীয়মান হওয়ার আশঙ্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

 

এছাড়া পুতিনের প্রতি সহানুভূতিশীল তকমা ঘোচাতে পুরনো বন্ধুর প্রতি সুরও পাল্টাচ্ছেন ট্রাম্প। অনেকেই বলছেন, কঠোর সমালোচনার মাঝেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপে এখনও অঙ্গীকারবদ্ধ হননি ট্রাম্প। 

 

আরও পড়ুন: পুতিন ভালো কথা বলেন, তারপর রাতে বোমা মারেন: ট্রাম্প

 

এদিকে পর্যবেক্ষকদের মতে, পুতিন ট্রাম্পের নরম মনোভাবের সুযোগ নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিলেন। তবে, বর্তমানে ট্রাম্পের কঠোর মনোভাবের কারণে পুতিনের কৌশলগত হিসাবেও আসতে পারে পরিবর্তন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন