বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: খুলনায় বৃষ্টি-ঝড়ো হাওয়া, প্লাবনের শঙ্কা

২ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই খুলনার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝড়ো বাতাস।


আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় আগামী তিনদিন টানা বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


তবে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই আরও বড় শঙ্কা তৈরি করেছে দুর্বল বেরিবাঁধ। স্থানীয়দের ভাষায়, অনেক জায়গায় বাঁধের অবস্থা এতটাই নাজুক যে ভারি বৃষ্টির চাপেই ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় উপকূলীয় এলাকার নিুাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শ্যামনগর ও মোংলার নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় প্রস্তুত কোরবানির পশু, গো-খাদ্যের বাড়তি দামে লাভ নিয়ে শঙ্কা

খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় এলাকায় অন্তত ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সূত্র। খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালি ইউনিয়নের ঝপঝপিয়া নদীর পাড় ঘেঁষা বেড়িবাঁধে ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল ও ধস। এমন চিত্র আরও অন্তত ৫০টি পয়েন্টে।


আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত উপকূলীর বাসিন্দারা। দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, ‘সকাল থেকে ঝড়ের মতো বাতাস বইছে, সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই নদী পাড়ে থাকেন, ভয়ে আছেন পানি বেড়ে যাবে কিনা।’


খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, নিম্নচাপটি এখনও গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়নি, তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া ও ভারি বর্ষণ হতে পারে। নৌযানগুলোকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।


নিম্নচাপের কারণে গভীর সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার বাসিন্দা এবং মাছ ধরা নৌযান ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাগর উত্তাল, জেলেরা ফিরছেন কিনারে

এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপের বিষয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।


জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দলগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন