জানা যায়, মুজিববর্ষ পালনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, এতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ অপচয়ের পেছনে কারা জড়িত বা কীভাবে ব্যয় করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। একইভাবে মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেশ কয়েকটি মামলাও করেছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা- ১ আসনের সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ও তার স্ত্রী আকতারী জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধেও ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবনে দুদকের অভিযান
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন,
সরকারি অর্থ অপচয় ও তছরুপের মাধ্যমে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ভাস্কর্য ম্যুরাল নির্মাণে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এ ছাড়া তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন বিষয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আকতারী জোয়ার্দ্দার এবং অবৈধ সম্পদে সহায়তার জন্য তার স্বামী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারি প্রকল্পের টাকা লোপাটের মামলায় জড়িয়েছেন সাবেক ডাক বিভাগের মহাপরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে দুদক। এছাড়া ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। নতুন করে ব্যাংকে ১৩৪ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক।
আরও পড়ুন: নকশায় সাড়ে ৩ কোটি খরচ, ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের’ কী হবে জানে না আরডিএ!
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, অপরাধের দালিলিক প্রমাণাদিসহ প্রাসঙ্গিক যা যা দরকার হয়, সব রেকর্ড সংগ্রহ করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
]]>