মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফ্লাইওভারের ২ নম্বর গেটের র্যাম্পে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কাভার্ডভ্যানটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্বরত উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শামীম হোসেন।
আরও পড়ুন: কালশী ফ্লাইওভারে ছিটকে নিহত দুজনের পরিচয় মিলেছে
জানা যায়, দুর্ঘটনার পর ফ্লাইওভারের ২ নম্বর গেটে নামার মুখের র্যাম্পটিতে সম্পূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফ্লাইওভারের একটি অংশের সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এর প্রভাব ফ্লাইওভারের নিচে জিইসি মোড়ের সড়কেও গিয়ে পড়ে। সেখানেও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যান ফ্লাইওভারের বায়েজিদ রোডে যাওয়ার মুখে উচ্চতা প্রতিবন্ধকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফ্লাইওভারের উচ্চতা প্রতিরোধকের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এ সময় ওই রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে চলন্ত ট্রাকে আগুন
এ বিষয়ে সিএমপির ট্রাফিক উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শামীম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও কাজ করছে। রেকার দিয়ে কাভার্ডভ্যানটি সরানোর কাজ চলছে। ওই সড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।’
জানা যায়, ফ্লাইওভারের লুপ ও র্যাম্প দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধে এই ধরনের উচ্চতা প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করেছিল সিডিএ। এগুলো স্থাপনের পর এর আগেও বিভিন্ন সময় ভারী যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়েছিল।