ঘটনাটি ঘটে ২৯ অক্টোবর আইফেল টাওয়ারের সামনে অবস্থিত Trocadero Palace-এর Musée de la Marine প্রাঙ্গণে।
এ বইটি কেবল একটি শিল্পগ্রন্থ নয়—এটি বাংলাদেশের প্রকাশনা ইতিহাসে এক অভিনব মাইলফলক। কারণ একইসঙ্গে বাংলা, ইংরেজি ও ফরাসি—এই তিন ভাষায় প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রগ্রন্থ।
ফ্রান্সকে বলা হয় ছবির দেশ, কবিতার দেশ। এই দেশের কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী ও ভাস্করদের সৃষ্টিকর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে বিশ্বসাহিত্য ও শিল্পকলার ভাণ্ডার। সেই ঐতিহ্যের রূপ, রঙ ও সৌন্দর্যকে নতুনভাবে ধারণ করেছে ফরিদ আহাম্মদ রনির ‘প্যারিসের ছবি’।
বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন এক একটি জানালা—যেখান থেকে দেখা যায় প্যারিসের ইতিহাস, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও শিল্পের এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। আইফেল টাওয়ারের জ্যোতি থেকে শুরু করে লুভর মিউজিয়ামের মহিমা, মনোমুগ্ধকর রাস্তার শিল্পকলা থেকে বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর্যের নান্দনিকতা—সবকিছুই ধরা পড়েছে রনির অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও ক্যামেরায়।

‘প্যারিসের ছবি’ শুধু একটি ফটোবুক নয় বরং এক নান্দনিক যাত্রা, যেখানে শব্দ, রং ও অনুভূতির এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটেছে।
প্যারিসকে বলা হয় প্রেমের শহর, কবিতার শহর ও শিল্পের শহর। সেই শহরের মায়া, আলো, ইতিহাস ও মানবিক সৌন্দর্যকে একত্রে বুনে তৈরি হয়েছে এ চিত্রগ্রন্থ।
বাংলাদেশের একজন শিল্পীর চোখে প্যারিসের এমন অনুবাদ পাঠককে শুধু মুগ্ধই করবে না বরং অনুপ্রেরণাও জোগাবে সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চায়। ‘প্যারিসের ছবি’ এখন কেবল শিল্পপ্রেমীদের নয়, প্রতিটি সংস্কৃতিমনস্ক পাঠকের সংগ্রহে রাখার মতো এক অসাধারণ সৃষ্টি।
কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়েছে কাজী এনায়েত উল্লাহ, মহাসচিব—অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (AEBA), এবং বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশকে।

২ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·