একটি হলো অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার যা অ্যালকোহল সেবনের কারণে হয়। আর অন্যটি হলো নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ যা অ্যালকোহল ছাড়াও বিভিন্ন কারণে হয়।
জেনে নিন ফ্যাটি লিভারের কারণসমূহ-
১. খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত চর্বি ও ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া। ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব।
২. ওজন সমস্যা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা। বিশেষ করে যখন পেটের চারপাশে বেশি চর্বি জমে।
৩. স্বাস্থ্যগত সমস্যা: টাইপ ২ ডায়াবেটিস। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। হাইপারলিপিডেমিয়া: রক্তে উচ্চমাত্রার চর্বি (যেমন: ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরল)। মেটাবলিক সিনড্রোম।
৪. অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল যকৃতের কোষে চর্বি জমার জন্য দায়ী।
৫. ঔষধের প্রভাব: কিছু ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড, টেট্রাসাইক্লিন বা কেমোথেরাপি) যকৃতে চর্বি জমাতে ভূমিকা রাখে।
৬. অন্যান্য কারণ: দ্রুত ওজন কমানো বা পুষ্টিহীনতা। জিনগত বা বংশগত কারণ। কিছু ভাইরাসজনিত ইনফেকশন।
লক্ষণসমূহ-
শুরুতে ফ্যাটি লিভার কোনো লক্ষণ দেখায় না। পরে সেগুলো ফুটে ওঠে আস্তে আস্তে।
১. ডান পাশে পাঁজরের নিচে ব্যথা।
২. ক্লান্তি বা দুর্বলতা।
৩. ওজন কমে যাওয়া।
৪. যকৃতের ফোলাভাব।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা-
১. সুষম খাদ্য: শাকসবজি, ফল, আঁশযুক্ত খাবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন কমানো।
৩. অ্যালকোহল পরিহার: এটি ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. চিকিৎসা: ডায়াবেটিস বা লিপিড সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
আরও পড়ুন: শীতের যত রোগ
যদি লক্ষণ বা ঝুঁকি ফ্যাক্টর থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো চিকিৎসা না করালে ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস বা লিভার ফেইলিউর এর দিকে গড়াতে পারে।
]]>