ফেসবুকে প্রবাসীর স্ত্রীর প্রেম, বাড়ি গিয়ে দেখলেন প্রেমিক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্র

৩ সপ্তাহ আগে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) হয় প্রেম। দেখাদেখি ছাড়াই অদৃশ্য টানে কুমিল্লা থেকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ছুটে যান এক প্রবাসীর স্ত্রী। সেখানে গিয়ে দেখেন প্রেমিক প্রতিবন্ধী নবম শ্রেণির ছাত্র। পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে।


বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ভূরুঙ্গামারীতে অভিভাবককে ডেকে তার কাছে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে হস্তান্তর করে পুলিশ।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের দুলাল হোসেন দলুর প্রতিবন্ধী ছেলে হোসাইন আলী ধলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সঙ্গে কুমিল্লার লাকসাম এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীর (১৭) সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।


পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা গত রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেমিক হোসেনের বাড়িতে এসে ওঠেন। প্রেমিকের বাড়িতে এসে দেখেন প্রেমিক প্রতিবন্ধী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক।


আরও পড়ুন: এক তরুণীকে নিয়ে ২ প্রেমিকের হাতাহাতি, প্রতিশোধ নিতে হত্যা


এ দিকে প্রেমিকা বিয়েতে রাজি না হলেও প্রেমিক বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে প্রেমিকা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী থানাকে অবগত করেন। পরে ওই মেয়েটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেয়া হয়।


খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ রাত ২টার দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর বিপাকে পরে পুলিশও। মেয়ের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে ফেরত নিতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর মেয়েটিকে দুদিন থানা হেফাজতে রেখে বিভিন্নভাবে মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে রাজি করায় পুলিশ।


আরও পড়ুন: শিলা নামে ফেসবুক আইডিতে প্রেমের ফাঁদ!


পুলিশ জানায়, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ওই মেয়ের অভিভাবককে ভূরুঙ্গামারী নিয়ে এসে তাদের কাছে মেয়েটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম জানান, ছেলেটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার একটি চোখে সমস্যা রয়েছে। মেয়েটির বিবাহিতা এবং তার স্বামী বিদেশে থাকে বলে জানিয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের সমঝোতায় মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন