সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল। ১৯৮০ সালে ৩০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত মিলটি ১৯৮৩ সালে প্রোডাকশন যায়। একসময় এটি ছিল এই অঞ্চলের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের একমাত্র লাভজনক প্রতিষ্ঠান। মিলটিতে একসময় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। মিলের দুটি ইউনিটে দৈনিক ১০ হাজার কেজি সুতা উৎপাদন হতো। মিলকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।
তবে এক সময়ের লাভজনক টেক্সটাইল মিলটিতে ক্রমাগত লোকসান আর অব্যবস্থাপনার কারণে ২০০৭ সালে প্রথম দফায় শ্রমিক ও কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি সীমিত আকারে নারায়ণগঞ্জের ট্রেড লিংক লিমিটেড মিলটি ভাড়ায় চালায়। তবে লোকসানের বোঝা সইতে না পেরে ২০১৮ সালে এটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গ্যাসহীন নোয়াপাড়া চা বাগানে বন্ধ উৎপাদন, বিপাকে শ্রমিক-কর্মচারীরা
মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন করে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) পদ্ধতিতে মিল চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাবেক শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘মিল যখন চলতো, তখন আমাদের সংসারে অভাব ছিল না। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করিয়েছি, সংসার চালিয়েছি। বর্তমানে ছেলেমেয়েদের নিয়ে কষ্ট দিন কাটাতে হচ্ছে। মিল বন্ধ হওয়ার পর থেকে আমরা বেকার। ছেলেমেয়েরা ছোট, তাদের মুখের দিকে তাকালে চোখে জল আসে। নতুন করে মিল চালু হলে দুবেলা ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো।
আর ব্যবসায়ীরা জানান, মিল চলতো বলেই বেচাকেনা হতো। মিল বন্ধ হওয়ার পর ব্যাবসা ভালো যাচ্ছে না। তবে মিলটি আবার চালু হলে সরকার যেমন আর্থিক সুবিধা পাবে, তেমনি কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করেন সমাজসেবক আবুল কালাম বাবলা।
সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসের বর্তমান ইনচার্জ মো. শফিউল বাসার বলেন, ‘টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পপার্ক নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে নতুন চুক্তি পিপিপির মাধ্যমে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে; অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এরমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·