ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আজ (২৬ এপ্রিল) গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে আবারও ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। মোট ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় নতুন করে ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন এই ক্রিকেটার। আবাহনীর বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচেও খেলতে পারবেন না তিনি।
নানা নাটকীয়তার পর আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের জার্সিতে খেলতে নামেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু মাঠে নেমেই ফের শাস্তি পেতে হলো তাকে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাথে নামের পাশে যোগ হয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: শেষ ওভারে নাসুমের ছক্কায় ডিপিএলের ‘ফাইনালে’ মোহামেডান
ব্যাট হাতে এদিন ৫৪ বলে ৩৭ রান করেন হৃদয়। তবে আউট হওয়ার পরই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার পর ক্রিজে দাঁড়িয়ে হতাশার সঙ্গে আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে কিছু ইঙ্গিত করে কথা বলছিলেন তিনি। মূলত এই কারণেই শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট হলে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হন ক্রিকেটাররা। ফলে শাস্তির খড়গ নেমে এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের উপর। ডিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মোহামেডান তাদের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে পাবে না। আগের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করার পরদিনই নতুন করে এই শাস্তি পেলেন জাতীয় দলের এই ব্যাটার।
মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করে আরও এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পান তিনি।
আরও পড়ুন: ফারুক আহমেদের আড়াইশ কোটি টাকা সরানো নিয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা
কিন্তু মোহামেডানের চাপে পড়ে হৃদয়কে দেওয়া ম্যাচ রেফারির দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এক ম্যাচ করে দিয়েছিলেন বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগ। সেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাও যেন তুলে নেওয়া হয়, এর জন্য শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিসিবিকে চাপ দিতে থাকেন ক্রিকেটাররা।
তামিম ইকবালের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেলে একদল ক্রিকেটার মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে মূলত হৃদয়ের শাস্তি নিয়েই কথা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির আরও দুই পরিচালক ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ও আম্পায়ার্স এবং মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান।
]]>