২০২৪ সালে পুরোদমে যাত্রীসেবা দেয়ার কথা থাকলেও চালু হয়নি ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। উল্টো কাজ শেষ করতে না পারায় নতুন করে ব্যয়ের খাতায় যোগ হতে পারে আরও ২ হাজার কোটি টাকা। নির্মাণ কাজে আসছে কিছু পরিবর্তন। ভিভিআইপি জোনসহ কয়েকটি স্থানের সাজসজ্জা ও নতুন সংযোজনে বাড়তি অর্থ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মূলত বিশাল কর্মযজ্ঞের নানা অংশে ছিল অনিয়ম, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। এমন ৫ শতাধিক ভেরিয়েশনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। বলা হয়, কাজের পাশাপাশি দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে দুদক।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, টার্মিনালটির কাজে যেসব অনিয়ম করা হয়েছে ও যেসব কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসে ঠিক করা হচ্ছে। কাজের পাশাপাশি দুদক তাদের কাজ করছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব টার্মিনালটি চালু করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ইমিগ্রেশন জটিলতায় হারাচ্ছে বিদেশি পর্যটক, আকর্ষণে ই-ভিসা চালুর দাবি
২০১৯ সালের নির্মাণ শুরুর পর করোনাকালেও থেমে থাকেনি তৃতীয় টার্মিনালের কাজ। সেক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, যারা প্রকল্পের ব্যয় মূল্যায়ন করেছে, তারা কেন আগে থেকে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারেনি; সেটি খুঁজে বের করতে হবে। তবে ব্যয় বাড়লেও সেটি যৌক্তিক পর্যায়ে হতে হবে। ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান নয়।
তবে নিজেদের স্বার্থ ঠিক রেখে আইনগতভাবেই বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এই কাজটিতে অনেক আগে থেকেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে স্বার্থ সংরক্ষণ করে সেই জটিলতা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় প্রস্তাব ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এবার নতুন ব্যয় যোগ হলে ছাড়াবে ২৩ হাজার কোটি টাকা।
]]>