ফের নিষেধাজ্ঞা দিলে ফলাফল উল্টো হবে, হুঁশিয়ারি ইরানের

২ সপ্তাহ আগে
ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় তোড়জোড় চালাচ্ছে জাতিসংঘ। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্ব শক্তি ও তেহরানকে জরুরিভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে, ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ফলাফল উল্টো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।

বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি সচল করতে দুই পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিষয়ক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো ও ইরান যেন দ্রুত এই চুক্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করে সেই আহ্বান জানান তিনি।

 

এই চুক্তির সাফল্য বা ব্যর্থতা সবার জন্য গুরত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। ডিকার্লো বলেন, অঞ্চলটি আর অস্থিতিশীলতার ভেতর থাকতে পারছে না। সংলাপ ও কূটনীতির প্রতি সবাইকে অঙ্গীকার বদ্ধ থাকতে হবে।

 

তবে জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিষয়ক প্রধানের এমন প্রস্তাবে বেজায় চটেছে ইরান। জবাবে, ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, তেহরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অবৈধ ও ক্ষতিকর হবে। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইরানকে হুমকি দেয়া হলে ফলাফল উল্টো হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। 

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি ইরানি আদালতের

 

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো সত্যকে বিকৃত করতে পারে না। জেসিপিওএ-এর প্রতিশ্রুতি পূরণে নিজেদের ব্যর্থতাকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারে না।

 

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, অক্টোবরে ইসরাইলের হামলার কারণে চলতি বছর ইরানের জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না। কিন্তু তেহরান চাইলে এখনও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব। তেহরানের নিজের দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা না ছড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। 

 

আরও পড়ুন: সামনে এলো ইরানের ড্রোনবাহী রণতরীর ছবি

 

তবে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ওই চুক্তি থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরানও ওই চুক্তির পরমাণু সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে থাকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন