শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহরের ট্রাংক রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছে সহপাঠীসহ এলাকাবাসী। এসময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘নিশাত হত্যার বিচার চাই, বিচার চাই, বিচার চাই’, ‘নিশাত, সাঈদ, মুগ্ধ- শেষ হয়নি যুদ্ধ’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।
ফেনী গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডা. রাজিয়া সুলতানা তমা বলেন, নাশিত আমার প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। যে ছেলেগুলো নাশিতকে হত্যা করেছে ওই ছেলেগুলো গত তিন-চার বছর যাবত আমাদের স্কুলের পাশে সবসময় আড্ডা দিত। আসলে আমরা বুঝতে পারিনি যে ওরা ঘাতক। ওদের কারও বাসা সেখানে না, ওরা ওখানকার ছেলেও না। ওরা বাহির থেকে গিয়েই ওখানে আড্ডা দিত। আমরা জানি না, এটার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না। এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানের সবাই এটার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
নাশিতের খালাতো ভাই আবুল কাশেম তুহিন বলেন, আমার খালাতো ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। আমরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই।
আরু পড়ুন: ফেনীতে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
উল্লেখ্য, রোববার (৮ ডিসেম্বর) আহনাফ আল মাঈন নিশাত প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের ১২ লাখ টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা করে। ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরতলীর দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় রেললাইনের পাশে একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নাশিতকে অপহরণ ও নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আশরাফ হোসেন তুষার (২০), মো. মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিফাতকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ।