গত ৭ জুলাই থেকে ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধের ৩৬টি স্থানে ভাঙন ধরলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এরপর ১০ জুলাই থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসায় পানি নামতে শুরু করে।
পানি নামার পর রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও খামারগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী ও ফেনী সদর উপজেলার মোট ৩০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছাগলনাইয়ায় সবচেয়ে বেশি ১২৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খেলতে গিয়ে সবার আড়ালে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
ফেনীর স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক বলেন, ‘বন্যার সময় কোনো কোনো সড়কের ওপর দিয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তার বড় অংশ বিলীন হয়েছে। অনেক স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা দ্রুত মেরামত না করলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। বিভিন্ন দফতর প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়েছে, তবে এটি চূড়ান্ত নয়। পানি নেমে গেলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যাবে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>