মামলায় দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি তারেক চৌধুরীকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এতে আসামি হিসেবে দৈনিক ফেনী পত্রিকার সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হলেও মামলার এজাহারে আরিফুল আমিন রিজভীর স্থলে লেখা হয় আরিফুর রহমান। এছাড়া দৈনিক ফেনীর রিপোর্টার হিসেবে মামুনুর রহমান, ঢাকা পোস্টের রিপোর্টার হিসেবে জামশেদ আলম অনিক ও ওমর ফারুকের নামোল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে নিজেকে জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ইউপি সদস্য উল্লেখ করে তাকে সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রহিম উল্ল্যাহ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল দৈনিক ফেনীর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রহিম উল্ল্যাহর সঙ্গে কিছু কথা বলার জন্য সময় চান তারেক চৌধুরী। এর আগে ১৮ এপ্রিল চারজন সাংবাদিক দৈনিক ফেনী ও ঢাকা পোস্টের লোগো সম্বলিত বুম (মাইক্রোফোন) নিয়ে বাদীর ফার্নিচার দোকানে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে প্রশ্ন করেন। তারা রহিম উল্ল্যাহর কাছে ঢাকা পোস্ট ও দৈনিক ফেনীর সাংবাদিক তারেক চৌধুরীকে খুশি করার জন্য ও সংবাদ প্রকাশ না করতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। প্রকাশিত সংবাদের কারণে তার এক কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় নকল সরবরাহের খবর প্রকাশ, সাংবাদিকের হাঁটু ভেঙে দেয়ার হুমকি অধ্যক্ষের
এ ব্যাপারে দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি তারেক চৌধুরী বলেন, এটি অনুসন্ধানী সংবাদ ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুঠোফোনে রহিম উল্ল্যাহর বক্তব্য নিয়েছি। এতে তিনি সবকিছুর দায় স্বীকার করে এসব কর্মকাণ্ড তার পেশা হিসেবে মন্তব্য করেন। প্রতিবেদনে সেটিই লেখা হয়েছে। তিনি এজাহারে যা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কাল্পনিক।
আরও পড়ুন: ‘সন্দেহযুক্ত’ আসামি হিসেবে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ
দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, এ ঘটনায় দৈনিক ফেনীর কোনো প্রতিবেদক রহিম উল্ল্যাহর সঙ্গে দেখা করেনি কিংবা তার দোকানেও যায়নি। চাঁদা চাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
]]>