গ্যারি লিনেকার বিবিসি ছাড়ছেন বলে সোমবার (১৯ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
বিট্রিশ ফুটবলের পরিচিত মুখ গ্যারি লিনেকার। এ স্ট্রাইকার লেস্টার সিটি, এভারটন, টটেনহ্যাম ছাড়াও খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায়। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে। সাবেক এ অধিনায়ক জাতীয় দলের হয়ে ৮০ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪৮ গোল। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন ছাড়ার পর ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৯৯ সাল থেকেই জনপ্রিয় ফুটবলবিষয়ক অনুষ্ঠান ম্যাচ অব দ্য ডে’র উপস্থাপক হিসেবে বিবিসিতে কাজ করে আসছেন তিনি।
এ বছরের শেষে ম্যাচ অব দ্য ডে ছাড়বেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন বিবিসির সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত উপস্থাপকের তালিকায় থাকা গ্যারি লিনেকার। তবে সামনের মৌসুমের এফএ কাপ এবং ২০২৬ এর বিশ্বকাপে সংবাদমাধ্যমটির কভারেজের প্রধান মুখ হিসেবে তার থাকার কথা ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন এবং ইসরাইলের জায়নবাদের বিরোধিতা করায় তাকে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিবিসি ছাড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের সহকারী কোচ হতে ‘প্রস্তুত’ কাকা
সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন গ্যারি লিনেকার। সে পোস্টে ইসরাইলের জায়নবাদেরও সমালোচনা করা হয়। তবে তার পোস্টে ব্যবহৃত একটি ইমোজি (ইঁদুরের ইলাস্ট্রেশন) ছিল, অতীতে এই ধরনের ছবি ‘ইহুদিবিদ্বেষী প্রচারণায়’ ব্যবহৃত হতো। যা নিয়ে একটি মহল তার সমালোচনায় মাতে। এই পোস্টের জেরেই বিবিসি ছাড়তে হচ্ছে লিনেকারকে।
যদিও ক্ষমা চেয়ে পোস্টটি মুছে পেলেছেন লিনেকার। তিনি বলেন, জেনেশুনে তিনি কখনোই ইহুদিবিদ্বেষী কোনো কিছু শেয়ার করতেন না, আর ছবির প্রতীকী অর্থ সম্বন্ধে জানতে পারার পরপরই তিনি ওই পোস্ট ডিলিট করে দেন।
শনিবার রাতে শেষবার ম্যাচ অব দ্য ডে-র উপস্থাপনা করবেন এবং এর পরই ৬৪ বছর বয়সী সাবেক এ স্ট্রাইকারের সঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে বলে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য হতে যাচ্ছে আকাশচুম্বি
এর আগে ‘পক্ষপাত’ সংক্রান্ত এক বিতর্কের রেশ ধরে ২০২৩ সালের মার্চে বিবিসি থেকে সাময়িক বহিস্কারও হয়েছিলেন লিনেকার। সেবার সরকারের সমালোচনা করে তিনি লিখেছিলেন, সরকারের এক নীতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার হয়েছে তার সঙ্গে ‘১৯৩০ এর দিকে জার্মানির ব্যবহৃত ভাষার খুব একটা পার্থক্য নেই’।
]]>