মোহাম্মদ রিজওয়ান তার ধর্মকে অনেক বেশি সম্মান করেন এবং তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেন। ইসরাইল-ফিলিস্তিনির মধ্যকার চলমান যুদ্ধে রিজওয়ান সরাসরি পক্ষ নিয়েছেন ফিলিস্তিনির। এছাড়া পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমেও রিজওয়ান ধর্ম চর্চা করতেন। যে কারণে বিব্রত বোধ করতেন অনেকেই। রশিদ লতিফ মনে করেন, সে কারণেই তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়েছেন মাইক হেসন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে রশিদ লতিফ বলেন, ‘শুধু ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার কারণেই আপনি তাকে নেতৃত্ব থেকে সরাবেন? তার (মাইক হেসনের) মানসিকতা এমন হয়ে গেছে যে, একটি ইসলামি দেশে অ-ইসলামি অধিনায়ক আসা উচিত।’
আরও পড়ুন: ৫৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে যে নজির দেখা গেল প্রথমবার
রশিদ লতিফ আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের (রিজওয়ানের নেতৃত্ব হারানো) পেছনে মাইক হেসনই দায়ী, তাই না?
‘সে (হেসন) এমন কেউ নন যে ড্রেসিংরুমে এই সংস্কৃতি (ইসলামিক সংস্কৃতি) পছন্দ করবে। কেন তারা বুঝতে পারছে না? তার ৫-৬ জনের একটা দল আছে, সে (হেসন) ড্রেসিংরুমে এমন সংস্কৃতির ইতি ঘটাতে চাইবে। আমরা কখনও এসব নিয়ে ভাবিনি, এমনকি যখন ইনজামাম উল হক, সাইদ আনোয়ার, সাকলাইন মুশতাক ছিলেন; তখনও না।’
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিকে সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রিজওয়ান। এ বছরের এপ্রিলে একটি ম্যাচে তার পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান সুলতানসের মাধ্যমে তাদের খেলোয়াড়দের দ্বারা প্রাপ্ত প্রতি ছয় এবং উইকেটের জন্য ১ লাখ পাকিস্তানি রুপি ফিলিস্তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রিজওয়ান।
ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরাইলের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সারা বিশ্ব। রিজওয়ানও তার ব্যতিক্রম নন। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অন্য সবার মতো তিনিও ফিলিস্তিনের মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় ‘গাজার ভাইবোনদের’ উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন রিজওয়ান।
রিজওয়ানকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর কোনো কারণ উল্লেখ করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাছাড়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। বোর্ডের মতে, ইসলামাবাদে নির্বাচক কমিটি এবং পাকিস্তানের সাদা বলের প্রধান কোচ মাইক হেসনের মধ্যে একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পেলেন রোনালদোর ছেলে
সভায় প্রধান কোচ মাইক হেসন, হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর আকিব জাভেদ ও জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়ক হিসেবে বাছাই করা হয়।
অধিনায়ক পরিবর্তনের গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। সোমবার (২০ অক্টোবর) এক সভায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, ২০২৩ সালে শাহিন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হয়েছিল। কোনো কারণ ছাড়াই মাত্র এক সিরিজ পরে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
যদিও পিএসএলে অধিনায়ক হিসেবে বেশ সফল শাহিন আফ্রিদি। লাহোর কালান্দার্সকে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৫ সালে মোট তিনবার শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি।
আফ্রিদি এখন পর্যন্ত ৬৬টি ওয়ানডে ও ৯২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, মোট ২৪৯টি উইকেটও শিকার করেছেন। এছাড়া ৩২টি টেস্ট ম্যাচে ১২০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৫








Bengali (BD) ·
English (US) ·