ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদী মানুষের মিছিল বড় হচ্ছে। কণ্ঠস্বর হচ্ছে জোরাল। এই হত্যাযজ্ঞে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের নিরব সমর্থনকে ধিক্কার জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ক্রীড়া জগতের তারকারাও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছেন। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের তারকারাও।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হচ্ছেন বাংলাদেশের তারকারা। জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরী প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। নাহিদ রানাও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন আক্রান্তদের সমর্থন জানিয়ে। এবার এই তালিকায় যোগ দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াদ লিখেছেন, 'আল্লাহ, সাহায্য করুন, দয়া করে সাহায্য করুন। ইয়া কারিম, ইয়া রাহমানুর রহিম দয়া করে সাহায্য করুন। আপনি আমাদের রক্ষাকর্তা, দয়া করে রক্ষা করুন। দয়া করে রক্ষা করুন এবং তাদেরকে (ফিলিস্তিনিদের) বিজয়ী বানান। আমিন। এরকমটা (ইসরাইলের আগ্রাসন) সহ্য করা যায় না। দয়া করে আল্লাহ তাদের বাঁচান।'
এদিকে, গাজাবাসীর কষ্টে মন কাঁদছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাহিদ রানারও। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।'
আরও পড়ুন: সিনিয়ররা অবসর নিয়েছেন, দায়িত্ব নিতে হবে নতুনদের: মিরাজ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান হত্যাযজ্ঞের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। আজ (৬ এপ্রিল) জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষে গাজার বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আজ যখন আমরা এখানে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে। গতকাল গাজায় ইসরাইলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের লাশ কিভাবে আকাশে উড়ছে বোমার আঘাতে।’
আক্রান্ত গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গাজার জনগণের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাতে চাই এই দিনে। সেই সঙ্গে, আমরা আশা করি, পৃথিবী থেকে সকল মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যা দেখেছি, তা কখনই মেনে নেওয়া উচিত নয়।'
]]>