নিউইয়র্কের টার্কিশ হাউসে (তুর্কেভি) সাংবাদিকদের ফিদান বলেন, আঙ্কারা জোরালোভাবে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা করেছে।
হাকান বলেন, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা আইটেম ছিল ফিলিস্তিনি সমস্যা এবং গাজার পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন:নেতানিয়াহুর ভাষণ / ইরানি জনগণ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে ও তেহরানকে মহান করে তুলবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান গাজা উপত্যকার বৈঠকের ‘বুদ্ধিজীবী উদ্যোক্তা’ ছিলেন বলে জানান ফিদান। জোর দিয়ে বলেন, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আটটি আরব লীগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকে, প্রায় ৮০ কোটি মুসলিম জনসংখ্যার দেশগুলোর একটি দল হিসেবে, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গাজা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি।’
হাকান আরও জানান, আমরা বলেছি, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে এবং এই অঞ্চলে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়া অপরিহার্য।
তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোতে ইতিবাচক গতি সঞ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে।
ফিদান সাধারণ পরিষদের আগে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই ফলাফলটি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-আরব লীগ যৌথ যোগাযোগ গোষ্ঠী হিসেবে আমাদের কাজের একটি সুনির্দিষ্ট ফলাফল। আমরা সর্বদা প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবি রক্ষা করে যাব।
আরও পড়ুন:গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের বড় দায়িত্ব নিতে পারেন টনি ব্লেয়ার
এছাড়া বর্তমান অগ্রাধিকার হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জন, বেসামরিক গণহত্যা বন্ধ করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানবিক সাহায্য পৌঁছানো নিশ্চিত করা, এই বিষয়গুলোর উপর জোর দিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার এবং সমান্তরালভাবে অন্যান্য বিষয়গুলোকে সমাধান করার জন্য উপর কাজ চলছে।
সূত্র: আনাদোলু
]]>