রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ সম্পর্কিত একটি স্ট্যাটাস দেন।
মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, গত কয়েকদিনের ছবি এবং ভিডিও ক্লিপসগুলো দেখার পর এক অসহনীয় কষ্টকর সময় পার করছি। এর মাঝেও আমাদের করণীয় নিয়ে ভাবনা প্রয়োজন, আত্মসমালোচনার প্রয়োজন। গোটা বিশ্বজুড়ে উম্মাহ আজ অনেক সমস্যায় নিমজ্জিত যার অন্যতম কারণ হলো— জাতি হিসেবে আমাদের নিজেদের পরিচয় ভুলে যাওয়া।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলা, গাজাবাসীকে নিয়ে আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন পোস্ট
তিনি আরও লেখেন, ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুধু প্রতিক্রিয়াশীল জাতি না হয়ে আমাদেরকে ক্রিয়াশীল জাতি হয়ে ওঠা প্রয়োজন। এর মাঝেই আমাদের মুক্তির পথ নিহিত। আমরা শুধু তাদের ব্র্যান্ডগুলো বয়কট করতে জানি কিন্তু আমাদের নিজেদের মানসম্মত কোনো ব্র্যান্ড নেই। জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষতার জন্য যে ডেডিকেশন দরকার তা আমরা করতে রাজি না।
আজহারী লেখেন, একজন মুসলিম হিসেবে শিক্ষা-গবেষণা ও পেশাদারিত্বে নিজেকে শক্ত অবস্থানে নেয়া, যোগ্য করে গড়ে তোলা মানেই সামষ্টিকভাবে গোটা উম্মাহকে শক্তিশালী করা। এজন্যই রাসূল ﷺ বলেছেন— দুর্বল মুমিন অপেক্ষা সবল মুমিন শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। পক্ষান্তরে আমরা নানান আনপ্রোডাক্টিভ কাজে লিপ্ত থেকে সামগ্রিকভাবে গোটা উম্মাহকে দুর্বল করে চলেছি দিনের পর দিন। এভাবে চলতে থাকলে উম্মাহর সংকটময় মুহূর্তেও এই বিশাল জনসংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে আসবে না। ঠিক যেমনটি এখন কোনো কাজে আসছে না। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন— “’অনতিদূরে সকল বিজাতি তোমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, যেমন ভোজনকারীরা ভোজপাত্রের উপর একত্রিত হয়। (এবং চারদিক থেকে ভোজন করে থাকে।)” একজন বলল, “আমরা কি তখন সংখ্যায় কম থাকব, হে আল্লাহর রাসূল?” তিনি বললেন, “বরং তখন তোমরা সংখ্যায় অনেক থাকবে। কিন্তু তোমরা হবে তরঙ্গতাড়িত আবর্জনার ন্যায় (শক্তিহীন, মূল্যহীন)।” [আবূ দাঊদ: ৪২৯৯]