সরকার জীবিতদের সন্ধান এবং বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য সংস্থাগুলোকে তৎপর করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সেবুর প্রাদেশিক সরকার দুর্যোগ ঘোষণা করেছে এবং কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:ফিলিপিন্সে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭,‘দুর্যোগ অবস্থা’ ঘোষণা
ভূমিকম্পের পর আহতদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, কারণ আফটারশক এখনও চলছে বলে জানানো হয়।
সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা র্যাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরে, যা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি ছিল, সেখানকার একটি হাসপাতালে অসংখ্য আহত রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন, বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, এবং প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ফিলিপাইনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সেবুতে ৩৪ লক্ষ লোক বাস করে। ক্ষতি সত্ত্বেও, দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম প্রবেশপথ ম্যাকটান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি চালু আছে।
এর আগে আরেকটি ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত শহর, সান রেমিজিওকে প্রতিক্রিয়া এবং ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য দুর্যোগকালীন অবস্থায় রাখা হয়েছিল। ভাইস মেয়র আলফি রেইনস উদ্ধারকারীদের জন্য খাবার ও পানির পাশাপাশি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মীদের সহায়তার জন্য ভারী সরঞ্জামের আবেদন করেছিলেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০ টার পর সেবু প্রদেশের উপকূলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানায়, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের গভীরতা প্রায় ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের পরে কোনো সুনামির হুমকি ছিল না।
আরও পড়ুন:ফিলিপিন্সে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
এদিকে, আগ্নেয়গিরি সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে কমপক্ষে ৬১১টি আফটারশক এই অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
]]>