ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছর বিপিএলকে নতুন মাত্রা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সে সময়ের বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। অথচ এই আসরটি নিয়েই হয়েছে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে না পারা, মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার না থাকার পাশাপাশি মাঠের খেলার বেশ কিছু ঘটনায় স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধও পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিবি।
পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে কাজ করার পর প্রায় তিন হাজার পৃষ্ঠার বেশির একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে তদন্ত কমিটি। যা অবশেষে বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল বুলবুলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে প্রতিবেদনের বিষয়ে বিসিবি জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম মেনে গোপনীয়তা রক্ষা করে যথাযথ প্রক্রিয়া রিপোর্টটি পর্যালোচনা করবে বিসিবি। অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিসিবির সংবিধান, আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী আইন ও নিয়ম মানতে চায় তারা। সবার সুরক্ষা রক্ষার্থে চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে কোনো ক্রিকেটার কিংবা প্রতিষ্ঠানের নাম না প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। সতর্কতার সঙ্গে বিসিবি কমিটির সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিলেট স্ট্রইকার্সের জিরো টলারেন্স ঘোষণা
প্রাথমিক প্রতিবেদনে আগামী বিপিএলে আয়োজনে বেশ কিছু জায়গায় সংস্কারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ফিক্সিং বন্ধে দুর্নীতি বিরোধী নজরদারি বাড়ানো, কাঠামোগত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও ফ্র্যাঞ্চাইজির শাসন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের শেষদিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পাবে বিসিবি। যেখানে স্পট ফিক্সিং নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও কাঠামোগত সংস্কারের প্রস্তাব দেবে স্বাধীন তদন্ত কমিটি।
]]>