বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফকর প্রাঙ্গণে সহকর্মীদের শেষ শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফকরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। জানাজার আগে নুরুল হুদার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী।
এ সময় অগ্নিসেনাদের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে নুরুল হুদার সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে শোনানো হয়। শহীদ নুরুল হুদার বাবা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে মরহুমের জন্য ক্ষমা চান এবং দোয়ার আবেদন জানান। বক্তব্য শেষে জানাজা ও দোয়া পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ধর্মীয় শিক্ষক মুহাদ্দিস কাজী শরিফ উল্লাহ।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে আগুন: দগ্ধ আরেক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু
এরপর জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা নুরুল হুদার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা মো. নুরুল হুদার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ধামাইলের উদ্দেশে রওয়ানা হন। নিজ গ্রামেই দাফন করা হবে প্রয়াত ফায়ার ফাইটার মো. নুরুল হুদার মরদেহ।
গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গী সাহারা মার্কেটের পাশে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে যায় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ৭টি ইউনিট। অগ্নিনির্বাপণের সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে পুড়ে যান ৪ ফায়ার ফাইটার ও স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার। ওইদিনই তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
একদিন পর গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসের লিডার শামীম আহমেদ। এর একদিন পর বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুই ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হলো।
]]>