ফাইলে বন্দি আসবাবপত্র খাতের বন্ড সুবিধা, হতাশ উদ্যোক্তারা

৪ সপ্তাহ আগে
চলতি বছরের ৬ মাস পার হলেও; এখনও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ফাইলেই আটকে আছে, এবারের বর্ষপণ্য আসবাবপত্র শিল্পকে দিতে চাওয়া বন্ড সুবিধা। রফতানি বাজার সম্প্রসারণে আশার বাণী নয়, কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চান উদ্যোক্তারা। রফতানি পণ্য ও খাত বহুমুখীকরণে আসবাবপত্রসহ সম্ভাবনাময় নতুন খাতে দ্রুত বন্ড সুবিধা দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে অপব্যবহার ঠেকাতে কঠোর নজরদারির পরামর্শ তাদের।

আসবাবপত্র শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজার ৩০ হাজার কোটি টাকার। বাৎসরিক এই চাহিদার প্রায় শতভাগই পূরণ করছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। সময়ের সঙ্গে দেশে দাপট বাড়লেও পিছিয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে- এমন পরিসংখ্যানই দিচ্ছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সংস্থাটির তথ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে এখাতের রফতানি আয় ছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার; ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেমেছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে।

 

অথচ আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা গ্লোবাল মার্কেট ইনসাইটের তথ্য, বর্তমানে আসবাবপত্র শিল্পের বিশ্ববাজারের আকার ৬৯৩.৮ বিলিয়ন বা ৬৯ হাজার ৩৮০ কোটি ডলারের। ২০৩৪ সালে যা হবে ১.০৯ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৯ হাজার কোটি ডলার।

 

ক্রমবর্ধমান এই বিশ্ববাজার ধরতে চলতি বছরের প্রথম দিন ২০২৫ সালের জন্য বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হয় আসবাবপত্রকে। এরপর রফতানি বাজারে সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে সামনে আসে কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা।

 

আরও পড়ুন: বন্ড সুবিধায় আসবাবপত্র শিল্পের আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৫০০ কোটি ডলারে

 

আশাবাদী উদ্যোক্তারা বলছেন, গত ৬ মাসে দাফতরিক কাজ শেষ হলেও এখনও মেলেনি সেই নীতি সহায়তা। বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ করিম মজুমদার বলেন, নীতি সহায়তা না পেলে আসবাবপত্র রফতানি বাড়ানো সম্ভব না। কাঁচামাল আদমানি করতে হয়, তবে আমদানিতে যে পরিমাণ ট্যাক্স দিতে হয়; তা পরিশোধ করে টিকে থাকা কঠিন।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রফতানি আয় বাড়াতে সম্ভাবনাময় খাতে বন্ডের মতো নীতি সুবিধা শুধু দিলেই হবে না; নিশ্চিত করতে হবে এর সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার।

 

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বন্ডের সুবিধাগুলো নতুন নতুন খাতকে দেয়া, ভালো একটি উদ্যোগ। পাশাপাশি পণ্য বহুমুখীকরণেও জোর দিতে হবে। এটি কাজে দিলে অন্যান্য খাতেও এর প্রয়োগ করা যেতে পারে।

 

এদিকে, আসবাবপত্র রফতানিকারকরা শিগগিরই বন্ড সুবিধা পাবেন বলে বরাবরই আশ্বস্ত করে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন