ফসিল গ্যাসের বিস্তার বন্ধে ২ সংগঠনের নৌ-র‌্যালি

১ সপ্তাহে আগে
সারা বিশ্বে ফসিল গ্যাস (জীবাশ্ম জ্বালানি) সম্প্রসারণ বন্ধের দাবিতে নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক জাতীয় সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে দেশের ৯টি স্থানে এই র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

 

৯টি স্থান হলো- ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী, বাগেরহাটের মংলায় পশুর নদী, বরগুনায় বুড়িশ্বর নদী, তালতলীর পায়রা নদী, পাথরঘাটায় বিষখালী নদী, কলাপাড়ায় আন্দারমানিক নদী, কুতুবদিয়া সাগর চ্যানেল, পেকুয়ায় বঙ্গোপসাগরের মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেল ও হবিগঞ্জের খোয়াই নদী।

 

ব্যানার, প্ল্যা-কার্ড ও স্লোগানে ভরে ওঠা এসব নৌবহরে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে বার্তা তুলে ধরা হয়।

 

নদীভিত্তিক এই ব্যতিক্রমী নৌর‌্যালি বাংলাদেশে জলবায়ু আন্দোলনে যোগ করেছে নতুন এক মাত্রা; যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনার জন্ম দেবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

 

এই দুটি সংগঠন বলছে- বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সরবরাহ মাত্র ১ হাজার এমএমসিএফডি। এ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা করেছে, যার লক্ষ্য ৬১৮ এমএমসিএফডি অতিরিক্ত গ্যাস উৎপাদন। কিন্তু স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রের মজুত ফুরিয়ে আসায় এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আনার পরিকল্পনাও এর প্রমাণ।

 

বৈশ্বিক পরিস্থিতিও মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ায় এখনই নির্মাণাধীন রয়েছে ৭৬৮টি নতুন গ্যাস প্ল্যান্ট, ১৫৩টি এলএনজি টার্মিনাল, ৩০০টি পাইপলাইন এবং শত শত গ্যাসক্ষেত্র—যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যকে দুর্বল করে দিচ্ছে। শুধু ২০২৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানি করেছে ৮৮ মিলিয়ন টনের বেশি এলএনজি। কপ-৩০ ও আসন্ন জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু আন্দোলনকারীরা সরকারগুলোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন—জীবাশ্ম গ্যাস সম্প্রসারণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, এবং দ্রুত, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে হবে।

 

প্রতিবাদকারীদের প্রধান দাবি

 

  • জীবাশ্ম গ্যাস সম্প্রসারণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
  • প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্বালানি রূপান্তরের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে।
  • কপ-৩০ ও জি-২০ ঘোষণায় ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে হবে।
]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন