সবশেষ ২০১১ সালের পর ভারতে এই দুই দলের টেস্ট এবারই প্রথম তিন দিন পেরিয়ে চতুর্থ দিনে গড়ালো। মাঝে যে পাঁচটি টেস্ট হয়েছে, সবগুলোই শেষ হয়েছে তিন দিনেই। এর মধ্যে ৪টিতেই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে ভারত। আর একটিতে তারা জেতে ১০ উইকেটে।
দিল্লি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই রানের পাহাড় গড়ে ভারত। তাদের করা ৫১৮ রানের জবাব দিতে নেমে চার উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শুরুতেই দেড়শ রানের গণ্ডি পার করে দলটি। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার আগেই চার উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
৫৭ বলে ৩৬ রান করা শাই হোপকে বোল্ড করেন কুলদীপ যাদব। এর একটু পর টেভিন ইমলাচকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৬৭ বলে ২১ রান করে ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তন রাঙালেও সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ ইমামের, পাকিস্তানের ভালো দিন
দলীয় ১৭৪ রানে ফিরে গেছেন ১৭ রান করা জাস্টিন গ্রেভস। কুলদীপের বলে রিভার্স খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনি। স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতে ফিরে যান জোমেল ওয়ারিক্যান।
পাঁচ বলে ১ রান করা ওয়ারিক্যান ড্রাইভ করতে গিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। শেষদিকে খারি পিরের ৪৬ বলে ২৩, জেইডেন সিলসের ২৫ বলে ১৩ এবং অ্যান্ডারসনের ৯৩ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২৪৮ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ।
পিরেকে বোল্ড করে ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। তারপর সিলসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের ফাইফার পূরণ করেন কুলদীপ। এরপর ফলো-অনে পড়ে আবারও নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের বোলারদের এত বাজেভাবে মেরো না’, জয়সওয়ালকে লারা
ইনিংসের নবম ওভারে ত্যাগনারায়ন চন্দরপলের উইকেট হারায় তারা। ১০ রান করে সিরাজের বলে মিডউইকেটে গিলের ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর ৩৫ রানের মধ্যে অ্যালিক আথানেজের উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে মিডল স্টাম্প হারান সাত রান করা আথানেজ।
দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে পার করেন ক্যাম্পবেল এবং হোপ। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ক্যাম্পবেল ক্রিজে আছেন ১৪৫ বলে ৮৭ রান নিয়ে। শাই হোপ ক্রিজে আছেন ১০৩ বলে ৬৬ রান নিয়ে।
]]>