সরজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, নানান জাতের দেশি-বিদেশি ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে ঊর্ধ্বমুখী দামের প্রভাবে নেই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা।
মূলত বেশ কিছু দিন ধরে আপেল সাড়ে ৩০০-৪০০ টাকা, মাল্টা ২৮০ টাকা, কমলা ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা কেজি দরে।
মৌসুম শুরু হলেও দামের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তেরই অনেকটা নাগালের বাইরে এসব ফল। ক্রেতারা বলছেন, ফলের দাম কমার বদলে উল্টো বেড়ে গেছে। ফল এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফল খাওয়া এখন বিলাসিতা।
আরও পড়ুন: খেজুরের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ
তবে দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছর যে দামে ফল বিক্রি হয়, এবার সেই দামে পাইকারি পর্যায় থেকে কেনাও যাচ্ছে না। ফলের দাম বেশি হওয়ায় অনেক মানুষই কিনতে পারছেন না। নিম্নআয়ের মানুষেরা এক অথবা দুইপিসও কিনছেন কেউ কেউ।
খুচরা বাজারে যখন এমন বেহাল দশা তখন সদরঘাটের বাদামতলী পাইকারি বাজারের কী অবস্থা? আমদানিকাররা বলছেন, উচ্চশুল্কের জাঁতাকলে পিষ্ট ফলের বাজার। আসছে রমজানে ফলের বাজার আরও চড়ার শঙ্কা তাদের।
ফল আমদানিকারক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, রমজানের সময় খুব কাছাকাছি চলে এসেছে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি না করলে রোজার সময় বাজারে ফলের বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। বর্তমানে আমদানি করা ফলের ওপর শুল্ক অনেক বেশি, যার কারণে ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, আমদানিকৃত আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুর, নাশপাতি ও আনারকে বিলাসী পণ্যের তালিকায় রাখার পরিবর্তে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করা উচিত। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক থাকলেও এসব ফলকে বিলাসী হিসেবে দেখা অযৌক্তিক। দেশের উৎপাদিত ও আমদানি করা ফলের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা উচিত, যাতে ক্রেতারা বাজারে বৈষম্যের শিকার না হন এবং ফল কেনার ক্ষেত্রে চাপ অনুভব না করেন।
এছাড়া দেশেই এসব ফলের বাণিজ্যিক পর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·