ফরিদপুরে ১ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস পেল অনেকে

৩ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে অসহায় ও হত দরিদ্র মানুষের মাঝে নামমাত্র এক টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে। মুফতি রায়হান জামিল নামের এক ব্যবসায়ী এই মানবিক উদ্যোগ নেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেন এক কেজি করে গরুর মাংস। গরুর মাংস পেয়ে খুশি হত দরিদ্র মানুষগুলো।

 

মাংস পেয়ে খুশি ভ্যানচালক শাহিন মোল্যা। তিনি বলেন, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে গরুর মাংস খেতে পারিনি। যা রোজগার হয় তা দিয়ে চাল, ডালইতো কিনতে পারি না আবার মাংস কিনবো কিভাবে? রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসতেছিলাম পথে থামিয়ে এক ব্যক্তি এক কেজি গরুর মাংসের একটি প্যাকেট দিয়েছে। খুব খুশি হয়েছি। পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে এক সাথে মাংস খেতে পারবো।

 

গৃহিনী পারভীন আক্তার বলেন, আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। মাসের বেশিরভাগ সময়ই কাজ থাকে না। তার রোজগারে কোনো রকমে সংসার চলছে। কোরবানীর ঈদের সময় কিছু মাংস পেয়েছিলাম, তখন খেয়েছি, তারপর আর কেনা হয়নি। এক কেজি মাংস পেয়েছি, স্বামী সন্তানকে নিয়ে একসাথে খাবো, খুবই ভালো লাগছে। যিনি দিয়েছেন তার জন্য দোয়া করি, ভবিষ্যতেও যেন তিনি এভাবে দেন।

 

আরও পড়ুন: গরুর মাংসে হাড় বেশি দেয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আটক ৩

 

বৃদ্ধ আব্দুস সালাম রাস্তা দিয়ে হেটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাকে ডেকে এক কেজি গরুর মাংস দিয়েছেন এক ব্যাক্তি। প্রথমে তিনি নিতে চাইছিলেন না, বলছিলেন আমার কাছে টাকা নেই, মাংসের দাম দিতে পারবো না, তাই মাংস নিবো না। পরে তাকে বলা হলো মাংসের দাম দিতে হবে মাত্র এক টাকা! পরে তিনি মাংস কিনে নেন।  

 

আয়োজক মুফতি রায়হান জামিল জানান, গরুর মাংসের অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে গরিব মানুষের জন্য কোরবানি ছাড়া অন্য সময়ে মাংস কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। তাই আমি গরিব মানুষদের জন্য মাত্র এক টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছি। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

 

আরও পড়ুন: অসুস্থ ও মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে খুলনায় তিন জনের সাজা

 

তিনি আরো জানান, এর আগে ২ টাকা কেজি দরে চাল, ১০ টাকা হালি ডিম ও ১০ টাকা কেজি দরে ইলিশ হত দরিদ্র মানুষের জন্য আয়োজন করেছি। অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন