শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার শিকার শাহনাজ বেগম লাকি ওই গ্রামের আমিনুল খানের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় সুদের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি একই গ্রামের প্রতিবেশী হাফিজ মিয়ার স্ত্রী।
দগ্ধ শাহনাজের স্বামী আমিনুল খান জানান, সুদের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগমের সঙ্গে তাদের গত কয়েক মাস ধরে ঋণের টাকা পরিশোধ ও স্ট্যাম্প দেয়া-না-দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে এর আগেও তার স্ত্রীকে কয়েক দফা মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আমিনুল হক আরও জানান, সবশেষ শুক্রবার রাতে তার স্ত্রীকে পেছন দিক থেকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি ও প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ লাকিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেফতার ৩
অন্যদিকে, এ ঘটনায় নাছিমা বেগমসহ আরও কয়েকজন অমানবিক এই কাজে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এ নারীর বিরুদ্ধে এর আগেও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। তারপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় নাছিমা বেগম আরও উগ্রতা দেখিয়ে এবার শাহনাজ বেগমের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার অভিযোগ, নাছিমা বেগমের দ্বারা এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ নির্যাতিত।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, ‘এ ঘটনায় নাছিমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তা চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’