শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ব্যাংককের হাসপাতালে কেবিনে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিবের সবশেষ এই অবস্থার কথা গণমাধ্যমকে জানান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাম চোখে অপারেশন পরবর্তী অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ। এখন তিনি সুস্থ আছেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এবং আপনাদের দোয়ায় তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই বলেন,
ব্যাংককের চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, মহাসচিবকে দুই সপ্তাহ ফ্লাই করা যাবে না। সেজন্য তার দেশে ফিরতে দেরি হচ্ছে। যখনই চিকিৎসকরা বিমানে ফ্লাই করার অনুমতি দেবেন অর্থাৎ প্লেনে আসার মতো অবস্থা যখন হবে, তখনই তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন: করিডর ইস্যুতে কেবল বিএনপিই কথা বলছে: মির্জা আব্বাস
‘চোখের অপারেশন কোনো কোনো সময়ে প্রেসার কমবেশি হয় অর্থাৎ প্লেনের ভেতরে অনেক সময় এয়ার প্লেসার বেড়ে যায় অথবা কমে যায়। তখন চোখের ভেতরেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। সেটাকে পরিহার করার জন্যই তাকে দুই সাপ্তাহ ফ্লাই না করার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন’, যোগ করেন অধ্যাপক জাহিদ।
মির্জা ফখরুলের ডান চোখ খোলাই আছে জানিয়ে এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন,
বিএনপি মহাসচিব ডান চোখে সব কিছু দেখতে পান, বাম চোখে গ্লাস দেয়া। এখন চোখের ওপর যাতে প্রেসার না পড়ে, বিছানায় শুয়ে থাকা, বিশ্রাম নেয়া, কালো গ্লাস পড়ে থাকা এবং কিছু পজিশন আছে এগুলো মেন্টেইন করা ইত্যাদি কাজগুলো তিনি করছেন। তার পাশে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ কয়েকজন নিকট স্বজন রয়েছেন।
সুস্থতার জন্য দোয়া করায় দেশবাসীর প্রতি বিএনপি মহাসচিব দোয়া করেছেন জানিয়ে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে বিএনপি মহাসচিবের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছিল বিএনপি: মির্জা ফখরুল
গত ১৪ মে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে রুটনিন আই হসপিটালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাম চোখে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
]]>