প্রেস ব্রিফিং করতে বাধ্য করা হয়েছিল ৬ সমন্বয়ককে: মামুন

৪ সপ্তাহ আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে একটি বিশেষ বাহিনীর নির্দেশে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে এনে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলন থেকে সরে আসা সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তিনি।


জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পুলিশে রাজনৈতিক প্রভাব আরও বেড়ে যায়। প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন কিছু কিছু কর্মকর্তা। ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।


জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি মামুন বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে পুলিশে রাজনৈতিক প্রভাব আরও বেড়ে যায়। কিছু কর্মকর্তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। প্রায় প্রতি রাতেই তারা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় কোর কমিটির গোপন বৈঠকে অংশ নিতেন। গভীর রাত পর্যন্ত চলা এসব বৈঠকে ছিলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, এসবির মনিরুল ইসলাম, ডিআইজি নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার, এএসপি কাফী, ওসি মাজহার ও ফোরকান অপূর্বসহ অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
 

আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন সাবেক আইজিপি মামুন


তিনি আরও বলেন, আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো এবং ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে নেয়া হয়েছিল। লেথাল উইপেন ব্যবহারের নির্দেশনা এসেছিল শেখ হাসিনার কাছ থেকেই। সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিবি প্রধান হারুন ছিলেন মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতি উৎসাহী।


এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বিস্তারিত উঠে এসেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


এর আগে গত ১০ জুলাই একই মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন