পুলিশ বলছে, প্রেমিকের সাথে অভিমান করে তিনি সাত তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রেমিক একই কারখানার শ্রমিক।
নিহত শ্রমিক মোছা. শাবনাজ আক্তার (২০) এন আর গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার পারাইল চর এলাকার মো. আব্দুল বারেক মিঞার মেয়ে।
ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকার হারুন মিঞার বাড়িতে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিভোর্স লেটার পেয়ে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা!
এন আর গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা জানান, বিকেল তিনটায় হঠাৎ করে ভবনের ছাদ থেকে ভারী কিছু নিচে পড়ার শব্দ শুনে নিরাপত্তা কর্মীরা দৌড়ে গিয়ে শ্রমিক শাবনাজকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে নিহতের মরদের উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
আরও পড়ুন: ঋণের চাপে ৪ মাসের সন্তানকে বিষ খাইয়ে মা-বাবার ‘আত্মহত্যা’
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি প্রেমিকের সাথে অভিমান করে ওই নারী শ্রমিক গার্মেন্টস কারখানার সাত তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রেমিক একই কারখানায় কাজ করে। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যু মামলা হবে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>