স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়েজ তার ভুয়া জন্মদিনে ওই কিশোরীকে দাওয়াত করে। বান্ধবীদের সঙ্গে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত ৩১ ডিসেম্বর শহরের চরকিশোরগঞ্জে যায়। পরদিন ১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বান্ধবীরা তাকে অচেতন অবস্থায় বাড়ি দিয়ে যায়। কিন্তু তার চেতনা না ফেরায় ২ জানুয়ারি সকালে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে স্কুলছাত্রীকে ঢাকায় রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কিছু সময় পরেই মারা যায় সে।
মেয়েটির মা অভিযোগ করে বলেন, ‘শুনেছি মেয়ের সঙ্গে ফয়েজ নামের একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলে তাকে চরকিশোরগঞ্জ নিয়ে মদ পান করিয়ে ধর্ষণ করেছে। অজ্ঞান ও রক্তাক্ত অবস্থায় বান্ধবীরা তাকে বাসায় দিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন, মদের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। ফয়েজ আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলল। আমি তার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: মেয়ের ধর্ষণের বিচার পেতে আড়াই বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শিক্ষক দম্পতি
ফয়েজ পুলিশকে জানিয়েছেন, চরকিশোরগঞ্জ ঘাটে বান্ধবীসহ ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জন্মদিন পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে অজ্ঞান অবস্থায় বান্ধবীর মাধ্যমে ১ জানুয়ারি বিকেলে মেয়েটিকে তার বাড়িতে দিয়ে আসেন।
মেয়েটির বান্ধবী বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর রাতে আমার বান্ধবীকে কৌশলে বাড়িতে নিয়ে যায় ফয়েজ। তাকে মদ খাইয়ে সারা রাত ধর্ষণ করে। পরদিন ফয়েজের বাড়ি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় নিয়ে তাকে আমি বাড়িতে দিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনসহ লোকজন ফয়েজকে ধরে থানায় নিয়ে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’