সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের কুবিরদিয়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
মৃত রাব্বি ওই গ্রামের দিনমজুর রবিউল শেখের ছেলে।
পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে রাব্বির প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ছেলেটির পরিবার সম্পর্কটি মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
রাব্বির বড় ভাই রিয়াজ শেখ জানান, কিছুদিন আগে রাব্বি ও মেয়েটি একসঙ্গে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে উভয় পরিবার খোঁজাখুঁজি করে তাদের ফিরিয়ে আনে এবং বিয়ের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর মেয়েটিকে কৌশলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার এবং রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গত সোমবার সকালে মেয়েটির এক আত্মীয় রাব্বিকে জানায়, মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। এ খবর শুনে রাব্বি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। দুপুরে বাড়ির সবাই যখন বাইরে ছিল, তখন নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২ নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছে। আমরা ওই পরিবারের বিচার দাবি করছি।’
চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার দাস জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা ও সম্পর্কের বিষয়ে অভিভাবক ও সমাজের সচেতনতা জরুরি। পাশাপাশি এমন ঘটনাগুলোতে সহানুভূতিশীল মনোভাব ও সামাজিক সমাধান না এলে আরও দুঃখজনক পরিণতি ঘটতে পারে।