প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নের ৯০ শতাংশ সাজেশন পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে সতর্ক হয় পিএসসি। বিষয়টি তদন্ত করতে তাৎক্ষণিক সিআইডিকে জানায় সংস্থাটি। পরে অভিযোগের তদন্তে নামে সিআইডি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন সংস্থাটি জানায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাত্র ২০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায় সাজেশনের আড়ালে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভনে-অসংখ্য চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম বলেন, এক্সক্লুসিভ সর্ট সাজেশন দিয়ে প্রশ্নপত্রের নামে পিডিএফ কপিসহ হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনবক্সে পাঠায়। প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে বিকাশে টাকা দেয়া হচ্ছে। বিকাশ স্টেটম্যান্ট আমরা এনালাইসিস করছি। কারো কারো সাজেশন গেছে ইনবক্সে আবার কারো কারোরটা হোয়াটসঅ্যাপে গেছে। তদন্তের নিরিখে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছি এই আসামি প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক আটক
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতারক চক্রের এমন ফাঁদে পা না দেয়ার অনুরোধ জানান পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে সিআইডি।