মিরপুরে কয়েকদিনের স্কিল এবং কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে এবার চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে দুটি ম্যাচ খেলবেন তারা। ২২ এবং ২৪ জুনের সেই ম্যাচে 'এ' দলের মুখোমুখি হবেন সাদা বলের ক্রিকেটাররা। এই দুই ম্যাচকে জাতীয় দলে সুযোগের মঞ্চ হিসেবে দেখছেন দীর্ঘদিন ধরে দলের বাইরে থাকা সাইফউদ্দিন।
চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে আজ (২০ জুন) বিসিবি একাডেমির প্রাঙ্গনে ঢাকায় হওয়া ক্যাম্প নিয়ে সাইফ বলেন, 'আমাদের এখানে ফিটনেসের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরকম কঠিন ক্যাম্প এর আগে আর করিনি। ফিল্ডিং, বোলিং, রানিং, জিম, ব্যাটিং, স্কিল- সবকিছুই....একদম সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুশীলন। প্রথমে কিছুটা কষ্ট হয়েছিল, তারপর আমরা মানিয়ে নিয়েছি। আমরা চট্টগ্রামে যাচ্ছি পঞ্চাশ ওভারের দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য, সামনে শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে। এই লক্ষ্যেই আমরা আজকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চট্টগ্রাম যাচ্ছি।'
চটগ্রামে এই দুই ম্যাচকে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নজর কাড়ার মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সাইফউদ্দিন, 'যেসব খেলোয়াড়দের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঘাটতি ছিল, সেগুলো নিয়ে এখানে কাজ করেছি। যেসব জায়গায় উন্নতি করা দরকার সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আমরা এখন চট্টগ্রাম যাচ্ছি ম্যাচ খেলতে। ম্যাচের মধ্যে স্কিল বাড়ানোর খুব একটা সুযোগ নেই। তবে আমরা ম্যাচ দুটোতে মনোযোগ দিচ্ছি। সবার জন্য এটা একটা সুযোগ, ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি, ভালো খেলে আবার নির্বাচকদের নজরে আসার।'
যেকোনো দলের জন্যই একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে ‘অনেক বড় সম্পদ’ মনে করা হয়। হালের ক্রিকেটে বেন স্টোকস এবং হার্দিক পান্ডিয়ারা সেই ধারণাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সাইফউদ্দিন আহমেদের কাছে বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশাও ছিল পাহাড়সম। তবে ইনজুরি এবং ধারাবাহিকতার অভাবে মাঠে সেটার প্রতিফলন এখনও দেখাতে পারেননি সাইফ।
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ বিজয়, সাদমানের ফিফটিতে লিড বড় করছে বাংলাদেশ
জাতীয় দলে আসার পর থেকে অনেকবারই ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন সাইফউদ্দিন। মাঝে দুয়েকবার আশার আলো দেখালেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। সেসব কারণেই গত ১৩ মাস ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। গত বছরের মে মাসে দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন তিনি।
সর্বশেষ ডিপিএলে বল হাতে বেশ আলো কেড়েছেন সাইফউদ্দিন। ১৪ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন তিনি। মোহামেডানের লম্বা ব্যাটিং লাইনের কারণে ব্যাট হাতে তেমন সু্যোগই পাননি৷ তবে ১১ ম্যাচে তার ১০৬ রানটাও দলের উপকারে এসেছে বেশ, মোহামেডান অবশ্য শিরোপাটা জিততে পারেনি। সেই কারণে সাইফ আবারও এসেছেন বিবেচনায়।
নিজের দলে ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সদ্য ডিপিএল শেষ করেছি। ১৪টা ম্যাচ খেলেছি। ফিট না থাকলে এতগুলো ম্যাচ খেলা সম্ভব হতো না। আমার লক্ষ্য থাকবে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি, দুই ফরম্যাটেই নিজেকে উজাড় করে দেওয়া। সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’ ফিটনেস প্রসঙ্গে পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘পুরোপুরি ফিট আছি, পারফর্ম করতে হবে শুধু।’
]]>