নাটোর শহরের স্টেশন বাজারের পাইকারি বাজারে শুক্রবার (৯ মে) ভোর থেকে লিচুর ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে। স্থানীয় প্রশাসন ১৫ মে থেকে মোজাফ্ফর পুরি জাতের লিচু ও ২৫ মে থেকে বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচু বাজারজাতের অনুমতি দিয়েছে।
তবে ৭ মে থেকে পাইকারি বাজারে মোজাফ্ফরপুরি জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ হওয়া অপরিপক্ব এই লিচুর প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২টাকা ৫০ পয়সায়।
আরও পড়ুন: হিলির বাজারে অপরিপক্ব লিচু, দাম কেমন?
লিচুর বাগান মালিকদের দাবি, চলতি বছর নাটোরে বৃষ্টিপাত হয়েছে কম। অল্প কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের মধ্যে কয়েকদিন শিলাবৃষ্টি হওয়ার কারণে লিচুর ফলন ভালো হয়নি। তাই লিচু বাজারে সরবরাহ শুরু করেছেন। ফলন ভালো না হওয়ার কারণে নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এতে করে লোকসান গুনছেন তারা।
বাগান মালিক আরশেদ আলী বলেন, ‘চলতি বছর বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। তাই লিচু গাছেই ফেটে যাচ্ছে। লিচু সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বাজারে এনেছেন।’
বাগান মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, বাধ্য হয়েই অপরিপক্ব লিচু বাজারে এনেছেন। ফলে দাম কম পাচ্ছেন তারা। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সাড়ে ৮ হাজার কেজি অপরিপক্ব আম ধ্বংস
নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বলেন, ‘বাজারজাতের সময়টা দেয়া হয়েছে, যাতে লিচুর স্বাদ বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে বজার জাত করতে পারবে।
চলতি বছর নাটোর জেলায় ৮৮৭ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৫০৮ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষিবিভাগের ধারনা চলতি বছর জেলায় ৮১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হবে।