বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮ টায় ক্যাম্পাসে কাঁধে কফিন নিয়ে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করে মহাসড়কে যান তারা। পরে সেখানে গায়েবানা জানাজা করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতীকী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন তারা। প্রশাসনের প্রতীকী জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিস সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবি-দাওয়া না মেনে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। দাবি-দাওয়া পূরণ ও হয়রানিমূলক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি উঠিয়ে নিতেই তাদের এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: রেজিস্ট্রার অপসারণসহ ৪ দাবিতে উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
আন্দোলনকারী লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, 'আমরা ৪ দফা দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো আমলে নিচ্ছেন না। উপাচার্য শুচিতা শরমিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী পুনর্বাসন করছেন। তিনি আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছেন না। তাই আমরা প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করছি। তাদের প্রতীকী জানাজার মাধ্যমে আমরা তাদের মৃত ঘোষণা করছি।'
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন একপ্রকার মৃত। আমরা ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো আলাপ না করে উল্টো মামলা দিয়েছেন। আমরা এই প্রশাসনে পদত্যাগের দাবি করছি।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করছে। এর প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা ‘মিথ্যা’ অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা; আওয়ামী লীগ পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ; ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের দায় স্বীকার করে উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।
তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর শুচিতা শরমিনকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
]]>