সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সপ্তাহ খানেক আগে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সফরে যান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং। যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ও গুয়াম অঞ্চলেও সফর করেন তিনি। এই সফর নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাইপের স্বাধীনতা অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে দৃঢ়তার সঙ্গে দমন করার হুঁশিয়ারি দেয় চীন। সেই উদ্দেশ্যেই যেন এবার কাজ শুরু করল শি প্রশাসন।
স্থানীয় সময় সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাইওয়ান প্রণালী ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করছে চীনা নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের শতাধিক জাহাজ। চীনের এই মহড়াকে আলাদাভাবে দেখছে তাইওয়ান।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া, উত্তেজনা তুঙ্গে
তাইওয়ানের এক সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বর্তমানে তাইওয়ান, দক্ষিণ জাপানি দ্বীপপুঞ্জ এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের কাছাকাছি জলসীমায় প্রায় ৯০টি নৌবাহিনী ও কোস্টাগার্ডের জাহাজ রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ছিল নৌবাহিনীর জাহাজ।’
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও সাড়া দেয়নি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির পাশাপাশি যুদ্ধ প্রস্তুতির মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন মহড়ায় চীনের বড় কোনো পরিকল্পনার আভাস মিলছে; যার উদ্দেশ্য হতে পারে তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি কমিয়ে দেয়া।
]]>