কুয়েতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস চালু করেছে 'ভিসা সত্যায়ন ব্যবস্থা'। নতুন ব্যবস্থায় কুয়েতগামী শ্রমিকদের নিয়োগকর্তা, আবাসন, কর্মপরিবেশ ও চুক্তিপত্র যাচাই করে তারপর ভিসা সত্যায়ন করা হচ্ছে। ফলে কুয়েতে প্রবেশের আগেই প্রবাসীরা পাচ্ছেন প্রতারণা থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা। অনেকেই এটিকে সময়োপযোগী ও প্রবাসীবান্ধব এক যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
দূতাবাসের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে কোম্পানির অবস্থা যাচাই করে সত্যায়িত করছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন শ্রমিক অন্তত দুই বছরের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা পাবেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, দূতাবাসের উদ্যোগকে বানচাল করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি অসাধু দালালচক্র। তারা সত্যায়নবিহীন ভিসাধারী শ্রমিকদের ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসা পেতে পারেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
প্রবাসীদের দাবি, ভিসা সত্যায়ন বাধ্যতামূলক করতে আইনি কাঠামো তৈরি হোক, যেন বিমানবন্দরেই তা যাচাই করা যায়। দূতাবাসে ভিসা সত্যায়িত হলে একদিকে যেমন কুয়েতে আগত নতুন প্রবাসীদের অন্তত দুই বছর আকামা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। পাশাপাশি লাখ লাখ টাকা খরচ করে বৈধ পথে কুয়েতে এসে অবৈধ হওয়া থেকেও বেঁচে যাবেন তারা। এই সময়ে কোনো সমস্যা হলে কুয়েতের আইনানুযায়ী দূতাবাস সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে। এছাড়া জবাবদিহিরও একটা পথ থাকবে।
কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এটা একটা মহৎ উদ্যোগ, সময়োপযোগী ও প্রবাসীবান্ধব।
]]>