প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী ৬ তরুণের সাক্ষাৎ

৩ সপ্তাহ আগে
আন্তর্জাতিক গণিত ও জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী ছয় শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।


বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও সাধারণ সম্পাদক এ এ মুনির হাসান, জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারিখ আরাফাত।


পদকজয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন: আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২৫ (৩৬তম)-এ ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, নটর ডেম কলেজের হা-মিম রহমান ও মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ফারাবিদ বিন ফয়সাল।


আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৫ (৬৬তম)-এ ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি কলেজের জিতেন্দ্র বড়ুয়া, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জাওয়াদ হামীম চৌধুরী ও ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের তাহসিন খান।


প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা শোনেন এবং বলেন, ‘তোমাদের কথা শুনে খুবই আনন্দিত হলাম। তোমরা নিজেরা আগ্রহী হয়ে এতদূর এগিয়েছো। তোমাদের উৎসাহ ও আগ্রহ থেকে আমরাও অনুপ্রাণিত হলাম।’
 

আরও পড়ুন: রোবট অলিম্পিয়াডে ২টি স্বর্ণসহ ১০ পদক জয় বাংলাদেশের


শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার জানান, এ বছর ১১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের যত্ন ও সহযোগিতা আরও বাড়ানো গেলে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও উজ্জ্বল করবে।’


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিক অসুবিধার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধার সম্মুখীন হয়। এ বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।


বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ জানান, সারা দেশ থেকে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিলেও বাছাই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত ছয়জন আন্তর্জাতিক আসরে সুযোগ পান। সব ব্যয় বহনের জন্য এখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগের ওপর নির্ভর করতে হয়।


বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকারও একই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বাছাই, পরীক্ষা ও প্রস্তুতির জন্য আমরা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করি। অর্থায়ন অত্যন্ত সীমিত।’


এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি যোগ করেন, ‘আপনারা যে স্বেচ্ছাশ্রমে এত বড় কাজ করছেন, সেটি দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন