প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের নয় কেন, প্রশ্ন রিজভীর

২ সপ্তাহ আগে
প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের কেন নয়? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারের ধীরগতিতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা। সীমান্তের ওপার থেকে ষড়যন্ত্র রুখতে দ্রুত নির্বাচন দেয়ারও আহ্বান বিএনপির।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের দাবিতে একযুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলনে বিএনপি। এরপর জুলাই বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে ড. ইউনূসের কাছে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি জানিয়ে আসছে দলটি।


এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া মঞ্চের ব্যানারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন হয়।


বিএনপি নেতারা বলেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করা ঠিক হবে না। রাষ্ট্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ও দেশ রক্ষায় দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।


বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আবদুস সালাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে দরকার নির্বাচিত সরকার, এটি এখন জনগণের দাবি। কারণ, দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাচিত সরকারের জন্য অপেক্ষা করেছে মানুষ। জনগণ ঠিক করবে দেশ কে পরিচালনা করবে।’


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অকার্যকর’ প্রমাণের চক্রান্ত করছে: রিজভী


এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, সরকারের এমন বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক।’

 

বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিএনপির বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।


রিজভী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার হয় না কেন?’


সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও তাদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়েও কড়া সমালোচনা করেন বিএনপি নেতারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন