এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা যতই বাড়ছে ততই তৎপর হয়ে উঠছে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। দেশজুড়ে সামরিক মহড়া এবং নাগরিক ও মিলিশিয়াদের গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল বলিভারিয়ান আর্মড ফোর্স দেশজুড়ে নতুন সামরিক মহড়া চালু করেছে।
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ক্যারিবীয় উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌযানে হামলা চালিয়ে ধ্বংসের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ক্যারিবিয়ান সাগরে মোতায়েন করা আছে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার যুদ্ধজাহাজ। সঙ্গে রয়েছে তিনটি ডেস্ট্রয়ারও। সামরিক উপস্থিতি জানান দিতে ১৫ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে এটাই কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা মোতায়েন বলে জানা গেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতি মূলত ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, সিএসআইএস। রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রথমে ধ্বংস করা হবে ভেনেজুয়েলার রানওয়ে ও বিমান ঘাঁটিগুলো। তবে বড় মাপের স্থল অভিযানে আপাতত যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য মার্কিন হামলা ঠেকাতে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা যতই বাড়ছে ততই তৎপর হয়ে উঠছে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। দেশজুড়ে সামরিক মহড়া এবং নাগরিক ও মিলিশিয়াদের গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল বলিভারিয়ান আর্মড ফোর্স দেশজুড়ে নতুন সামরিক মহড়া চালু করেছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় শুরু হওয়া মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে লা গুইরা, আমাজোনাস, বলিভার, মেরিদা, ট্রুজিলো, জুলিয়া ও কারাকাসের বিভিন্ন ইউনিট। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী হুমকির বিরুদ্ধে দেশের সামরিক শক্তি প্রস্তুত রাখা।
মাদুরো ও সামরিক কর্মকর্তারা বারবার বলছেন, দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনী যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তারা গেরিলা যুদ্ধের সরঞ্জাম ও কৌশল দেখিয়ে শত্রুকে ভয় দেখাচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামরিক সক্ষমতা নয়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে শত্রুকে ঘায়েল করাই তাদের প্রকৃত লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: কপ-৩০ সম্মেলন / জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকারকারীদের ‘পরাজিত’ করার আহ্বান লুলার
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৭






Bengali (BD) ·
English (US) ·