বুলেটিনে বলা হয়, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৯ দশমিক ৪৯ ট্রিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে, যা মোট ঋণের ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত পাঁচ বছর ধরে বৈদেশিক ঋণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ২০ ট্রিলিয়ন টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৩৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ ঋণও বেড়েছে, যা গত অর্থবছরের ১০ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন টাকা থেকে প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৯৫ ট্রিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ২২ ট্রিলিয়ন টাকা।
আরও পড়ুন: আস্থার সংকট, শেয়ার বাজারে বড় ধরনের ধস
পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, বৈদেশিক ঋণ অভ্যন্তরীণ ঋণের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
ঋণবৃদ্ধির কারণ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোভিড মহামারির পর উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো থেকে পাওয়া বাজেট সহায়তা এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রো রেল ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় প্রকল্পগুলোর জন্য করা ব্যাপক ব্যয়কে চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ বাড়লেও কেন গতি বাড়ছে না ব্যবসায়?
আর বর্তমান সময়ে সরকারি ঋণের এ ধারাকে বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক বলছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মনে করেন, রাজস্ব সংগ্রহে ধীরগতির কারণে রাজস্ব বাজেটে কোনো উদ্বৃত্ত থাকছে না, যার ফলে সরকার উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক— উভয় ঋণের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে।
]]>
১ দিন আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·