বিপরীতে ১৬.৬৮ শতাংশ কমেছে প্রতিশ্রুত ঋণ ছাড় আর ঋণ-সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমেছ সাড়ে ২২ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে নেয়া বিদেশে ঋণ পরিশোধে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের ঘাড়ে।
রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ- ইআরডি প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বাবদ ৪০৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় করেছে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে ঋণের আসল পরিশোধ হয়েছে ২৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার আর ১৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে সুদ পরিশোধে। মোট হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যয় বেড়েছে ২১.২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯৩ কোটি ডলার
পরিসংখ্যান বলছে, গেল অর্থবছরে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যয় বাড়লেও কমেছে প্রতিশ্রুত বিদেশি ঋণ ছাড়ের পরিমাণ। এসময়ে বিদেশি ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ছিলো ৮৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৬.৬৮ শতাংশ কম।
শুধু ঋণ ছাড়ই কমেনি গেল অর্থবছর; কমেছে বাংলাদেশকে ঋণ ও সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছিলো ১০৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার, সেখানে গেল অর্থবছর তা নেমেছে ৮৩২ কোটি ৩৩ লাখ ডলারে।
ইআরডি'র তথ্য, গেল দুই অর্থবছরে খাদ্য সহায়তা বাবদ ৫ ও ৩ কোটি ডলার অর্থছাড় মিললেও আসেনি কোন ঋণ ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি।
পে অফ