৫ দিন আগে
২
সংবাদ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তার এ সফরের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ট্রাম্প রোমে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তা পূর্বনির্ধারিত ছিল না। ফলে সৌদি আরবের মাধ্যমেই দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর শুরু হলো।
রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও প্রথম বিদেশ সফরের জন্য গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছিলেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক সময়ের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের প্রচলিত রীতির ব্যতিক্রম। দেশটির আধুনিককালের প্রেসিডেন্টরা প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সাধারণত যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা মেক্সিকোকে বেছে নেন।
আরও পড়ুন: রিয়াদে ট্রাম্পকে স্বাগত জানালেন যুবরাজ মোহাম্মদ
ট্রাম্পের এবারের মধ্যপ্রাচ্য সফরে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করা।উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে নতুন বিনিয়োগ বিশেষ করে তাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
এটি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সৌদি আরব সফরে যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তিও আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্য সামরিক উপকরণ ক্রয় করবে। এ প্যাকেজের আওতায় রাডার সিস্টেম ও পরিবহন বিমান কেনার বিষয়টিও আছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ১৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরেই সৌদি আরবের অস্ত্রের বড় সরবরাহকারী দেশ। যদিও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় ২০২১ সালে। ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে তখন সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
বুধবার ট্রাম্প কাতারে উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন। শুক্রবার আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে তার চারদিনের সফর শেষ হবে।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·