প্রথম ধাপে ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল

২ সপ্তাহ আগে
সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে হামাসের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। ছয় ঘণ্টার বেশি সময় চলা বৈঠকের পর শনিবার ভোরে এই অনুমোদন হয় বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে। এর ফলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তিনটি ধাপে অন্তর্ভুক্ত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপটি ছয় সপ্তাহের তথা ৪২ দিনের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়কালে ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ রয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।

 

শনিবার ভোরে এক বিবৃতিতে ইসরাইলের বিচার মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

 

এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর শনিবার সকালে ইসরাইল সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে।

 

আরও পড়ুন: কাটল সব বাধা, ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন

 

এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলের সরকার একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরফলে রোববার থেকে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে।

 

ইসরাইলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে। এদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ৯৫ জনের নামও প্রকাশ করেছে বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

 

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে শুরু হবে। সেখানে অবশিষ্ট সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

 

আরও পড়ুন: ৪৭ হাজার প্রাণের বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি, রোববার কার্যকর

 

তৃতীয় ধাপে অবশিষ্ট মৃতদেহগুলোর ফেরত দেয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।

 

যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর ১৫ জানুয়ারি গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন