গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফিওরেন্টিনার মাঠে ৩-১ গোলে জয় পায় নাপোলি। এই ম্যাচে নাপোলির হয়ে কেভিন ডি ব্রুইনা ও স্যাম বেউকেমার পাশাপাশি গোল করেন সদ্যই দলটিতে নাম লেখানো হয়লুন্দ। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে স্পিনোজ্জোলার পাস থেকে অভিষেকেই গোল করার কৃতিত্ব দেখান এই ডেনিশ স্ট্রাইকার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্লাব বদলে সাফল্য পাওয়াদের তালিকায় হয়ত সবশেষ সংযোজন হতে যাচ্ছে হয়লুন্দের নামটাও। যার প্রেক্ষিতে ইউনাইটেডকে ‘প্রতিভা ধ্বংসে বিশ্বের সেরা ক্লাব’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইতালিয়ান গণমাধ্যম। ইতালিয়ান সাংবাদিক পাওলো কন্ডো এই দাবি করেছেন, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে সিরি আ'তে ইংলিশ ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত সাফল্যের প্রেক্ষিতে।
ডেনমার্কের ফরোয়ার্ড হয়লুন্দ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্যর্থ সময় কাটানোর পর গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফারে নাপোলিতে যোগ দেন। এই ডেনিশ তারকার দ্রুত প্রভাব ফেলার ঘটনাটি স্কট ম্যাকটমিনের সাফল্যের ধারাবাহিকতা টেনে এনেছে। ম্যাকটমিনে গত মৌসুমে নাপোলির হয়ে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন এবং সিরি আ'র ‘সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়’ নির্বাচিত হন, যা ক্লাবকে শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেছিল। অথচ এই স্কটিশ মিডফিল্ডারকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিক্রির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছিল।
আরও পড়ুন: গোল করে মদ্রিচ বললেন, বয়স নিয়ে আর কথা নয়
শুধু হয়লুন্দ বা ম্যাকটমিনেই নন, ইউনাইটেড ছেড়ে গত মৌসুমে সাফল্য পেয়েছেন অ্যান্টনি, মার্কাস রাশফোর্ডও। কন্ডো বলেন, ইতালিতে এই তারকাদের সাফল্য প্রমাণ করে যে প্রতিভা নষ্ট করার ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাব আর নেই।
তিনি বলেন, 'ঈশ্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কল্যাণ দিক। গত ১০-১২ বছরে প্রতিভা ধ্বংসে তাদের চেয়ে ভালো ক্লাব পৃথিবীতে নেই। আজ আমরা দুর্দান্ত হয়লুন্দকে দেখেছি, গত বছর ম্যাকটমিনে নাপোলিকে স্কুদেত্তো জিতিয়েছিল, আর দে হেয়ার সেভও ছিল চমৎকার। তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাতেই থাকব।'
]]>